পরিচিতি


ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা:

অর্থ আইন, ১৯৯৫ (১৯৯৫ সনের ১২ নং আইন) এর ধারা ৮(৯) বলে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে দি কাস্টমস্ এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৯৬ অনুযায়ী কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১লা অক্টোবর, ১৯৯৫ সালে কার্যক্রম শুরু হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের অধীনে প্রতিষ্ঠিত কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইবুনাল দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ ও মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর সংশিষ্ট বিধি-বিধান ও নিজস্ব নিয়ম কানুন দ্বারা পরিচালিত একটি স্বাধীন সত্ত্বা। অর্পিত ক্ষমতা এবং দায়িত্ব পালনের লক্ষে টেকনিক্যাল সদস্য এবং জুডিশিয়াল সদস্যের সমন্বয়ে আপীলাত ট্রাইবুনাল গঠিত। প্রতিটি দ্বৈত বেঞ্চ একজন টেকনিক্যাল সদস্য এবং একজন জুডিশিয়াল সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত যারা যৌথভাবে রায় প্রদান করেন। সাংগঠনিক কাঠামো মোতাবেক ট্রাইব্যুনালের দ্বৈত বেঞ্চ ০৪ টি। তন্মধ্যে ০৪ টি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে এবং বিচারিক কার্যক্রম চালু রয়েছে। আপীলাত ট্রাইবুনাল ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ (১৮৯৮ সনের ৫নং আইন) মোতাবেক একটি দেওয়ানী আদালত হিসাবে গণ্য [শুল্ক আইনের ধারা, 196 C (8)] ।

যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি; কমিশনার, কমিশনার (আপীল), বা তার সমমর্যাদার কোন মূল্য সংযোজন কর কর্মকর্তা বা কাস্টমস কর্মকর্তার কাস্টমস আইন বা মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন প্রদও কোন সিদ্ধান্ত বা আদেশ দ্বারা সংক্ষুব্ধ হলে উক্ত সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের করতে পারবেন। কোন সিদ্ধান্ত বাআদেশ প্রদান বা আদেশ জারীর ০৩ (তিন) মাসের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে আপীল দায়ের করতে হয় । ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মাননীয় সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মামলা দায়ের করা হয়।

ট্রাইব্যুনালের ওপর অর্পিত ক্ষমতা ও দায়িত্ব

  • কাস্টমস ও ভ্যাট সংশ্লিষ্ট মামলা গ্রহণ করা ও মামলা নিষ্পত্তি করা ।
  • আপীল সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের শুনানী গ্রহণ করা।
  • যে সিদ্ধান্ত বা আদেশের বিরুদ্ধে আপীল, তা বহাল রাখা (Confirming ); পরিবর্তন করা (Modifying) বা বাতিল করে (Annulling) বিবেচনায় সঙ্গত যে কোন আদেশ প্রদান করা।
  • মামলার বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে উদঘাটন এবং পরিদর্শন;

– কোন ব্যক্তির উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং শপথ বাক্য পাঠ করে পরীক্ষা করা ।

– হিসাব বহি এবং অন্যান্য দলিলপত্র পেশে বাধ্য করা ।

– কমিশন জারী করা।

  • দ্বৈত বেঞ্চ সমূহের বৈঠকের স্থান নির্দিষ্ট করার ক্ষমতাসহ ট্রাইব্যুনাল এবং বেঞ্চ সমূহের কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ
    করার ক্ষমতা।
  • আপীল দায়েরের সংশ্লিষ্ট সময়সীমা অতিবাহিত হওয়ার পরও বিশেষ বিবেচনায় সন্তুষ্টি সাপেক্ষে কোন
    আপীল গ্রহণ করা বা প্রতি আপত্তিস্মারক দাখিল করার অনুমতি প্রদান করা ।
  • ভ্যাট বিষয়ক মামলা ০২ বৎসর এবং শুল্ক বিষয়ক মামলা ০৪ বৎসরের মধ্যে নিষ্পত্তি করা।
  • কাস্টমস বিষয়ক মামলার ক্ষেত্রে প্রদত্ত কোন আদেশের নথিপত্র দৃষ্টে কোন ভুল সংশোধন, কমিশনার বা আপীলের অন্যপক্ষ কর্তৃক কোন ভুল নজরে আনা হলে ০৪ বৎসরের মধ্যে যে কোন সময়ে আদেশ সংশোধন করা।

প্রেসিডেন্ট (দপ্তর প্রধান):

প্রেসিডেন্ট, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপীলাত ট্রাইব্যুনাল। প্রেসিডেন্ট হিসাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একজন “সদস্য”-কে বা বোর্ডের কোন সদস্যের চলতি দায়িত্বে বলবৎ আছেন এমন কর্মকর্তাকে সরকার নিয়োগ প্রদান করেন।

 

সদস্য ও বেঞ্চ:

দু্ইজন সদস্য এর সমন্বয়ে একটি দ্বৈত বেঞ্চ গঠিত হয়। সদস্য  হিসেবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণ নিয়োগ পেতে পারেন:

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য ছিলেন বা বর্তমানে আছেন অথবা বর্তমানে বোর্ডের সদস্যের চলতি দায়িত্বে আছেন।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট এর কমিশনার হিসেবে  কমপক্ষে ১ বৎসর চাকুরী অভিজ্ঞতা রয়েছে।

জেলা জজ দায়িত্বে আছেন বা ছিলেন।
  • সাংগঠনিক কাঠামো মোতাবেক বেঞ্চ সংখ্যা-০৪টি।
  • বর্তমানে বেঞ্চের সংখ্যা-০৪টি। যথা:- ১, ২, ৩ ও ৪ নং বেঞ্চ।

 

রেজিস্ট্রার:

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট-এর একজন সহকারী/ডেপুটি কমিশনার। সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।