আপিল দায়েরের নিয়ম


মামলা দায়েরের জন্য আপীলকারীর করণীয় ও প্রয়োজনীয় দলিলাদি

কমিশনার, কমিশনার (আপীল) বা সমমর্যাদার কর্মকর্তা যদি আপীলকারী হন

1) ফরম-১ এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন পত্র।

2) আপিল আবেদনের আর্জির কপি (০৩ সেট ফটোকপিসহ)

3) কমিশনার (আপীল)/সভাপতি, রিভিউ কমিটি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের কপি।

যে কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি যদি আপীলকারী হন

1) ফরম-1 এর মাধ্যমে নির্ধারিত ফরমে আবেদন পত্র।

2) 30 (ত্রিশ) টাকা মূল্যমানের কোর্ট ফিসহ আপীল আবেদনের আর্জির কপি (3সেট ফটোকপিসহ)

3) 15 (পনের) টাকা মূল্যমানের কোর্ট ফি সহ কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের কপি।

4) জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি।

5) ট্রাইব্যুনালের আপিল ফি বাবদ টি, আর চালানের কপি।

আপীল সংশ্লিষ্ট অর্থ ট্রাইব্যুনাল আপিল ফি
ভ্যাট/শুল্ক ও সুদ এবং দন্ডের পরিমাণ যদি  ০১ (এক) লক্ষ টাকা বা তার নিম্নে ৩০০ (তিনশত) টাকা
০১ (এক) লক্ষ টাকার অধিক ১২০০ (বারশত) টাকা।

6) মূল্য সংযোজন কর নিবন্ধন পত্রের সত্যায়িত কপি।

7) দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৯৪  অনুযায়ী মোট অর্থের ৫০% নগদে বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হারে (কাস্টমস মামলার ক্ষেত্রে) এবং মূল্য সংযোজন কর আইন অনুযায়ী মোট অর্থের ২০% টিআর চালানের কপি।

অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে

8) আটক প্রতিবেদন প্রদান করতে হবে।

9) আটককৃত মালের মূল্য সংক্রান্ত তথ্য।

10) গাড়ী চালাকের ড্রাইভিং লাইসেন্স কপি।

11) গাড়ীর ব্লু-বুক এর কপি।

12) গাড়ীর মালিকের পরিচয়পত্র।

13) মালামাল রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হলে তা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অধীনে আছে কিনা তার প্রত্যয়নপত্র। তবে সেক্ষেত্রে দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ১৯৪ প্রযোজ্য নয়।

আপীলাত ট্রাইব্যুনালের ফি জমা প্রদানের কোড

কোড নং-১-১১৩৫-০০১০-২৬৮১

 

একনজরে পরিপালনীয় শর্তসমূহ

মামলার ধরণ মামলার জন্য অর্থ জমার পরিমাণ ট্রাইব্যুনালে আপীল মামলা দায়েরের জন্য ফি জমাদানের কোড মামলা নিষ্পত্তির সময়সীমা সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা আপীল দায়েরের সময়সীমা যে কর্মকর্তার আদেশের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হয়
মূসক বিষয়ক মামলা ১) দাবীকৃত করের ২0% জমা প্রদান

২) কর না থাকলে দন্ডের ২0% জমা প্রদান

সংশ্লিষ্ট হাউস/ কমিশনারেট ভিত্তিক একাউন্ট কোড মোতাবেক রাজস্ব খাত/অন্যান্য খাতের অর্থ ট্রেজারীতে জমাদান ০২ বৎসর মূল্য সংযোজন কর আইনের ধারা 42 আদেশ প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যে। বিশেষ বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট পরবর্তী ৬০ দিন বর্ধিত করতে পারবেন। কমিশনার, মহাপরিচালক, কমিশনার (আপীল) বা সমপদমর্যার কর্মকর্তা
কাস্টমস বিষয়ক মামলা ১) দাবীকৃত করের ৫0% জমা প্রদান

২) অর্থদন্ডের ২৫% জমা প্রদান এবং ২৫% তফশিলী ব্যাংক হতে ব্যাংক গ্যারিান্টি বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক নির্ধারিত হার।

০৪ বৎসর শুল্ক আইনের ধারা ১৯৪, ১৯৬এ, ১৯৬বি, ১৯৬সি আদেশ প্রদানের ৯০ দিনের মধ্যে। বিশেষ বিবেচনায় প্রেসিডেন্ট পরবর্তী ৬০ দিন বর্ধিত করতে পারবেন। কমিশনার, মহাপরিচালক, কমিশনার (আপীল) বা সমপদমর্যার কর্মকর্তা

 

যে ক্ষেত্রে ফিস প্রদেয় হবে না

1) কমিশনারের পক্ষ হতে দায়েরকৃত আপীল।

2) প্রতি আপত্তি স্মারকের ক্ষেত্রে (Memorandum of Cross Objection)

3) মূসক মামলার ক্ষেত্রে কমিশনার (আপীল) কর্তৃক প্রদত্ত কোন আদেশের বিরুদ্ধে দায়ের হলে; অর্থাৎ কমিশনার (আপীল) অথবা আপীলাত ট্রাইব্যুনাল যে কোন স্থানে ১০% বা ২০% পরিমাণ অর্থ জমা প্রদান করতে হবে।

যে ক্ষেত্রে আপীল মামলা দায়ের করা যায় না

1) দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ৮২ এর অধীন নিলাম আদেশের বিরুদ্ধে।

2) দি কাস্টমস এ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর ধারা ৯৮ এর অধীনে প্রদত্ত কোন বন্ডেড ওয়্যার হাউসে আনীত পণ্য সংক্রান্ত আদেশের বিরুদ্ধে।

৩) মূল্য সংযোজন কর আইনের অধীন সরকারী পাওনা আদায়ের জন্য কোন আটক বা বিক্রয় আদেশের বিরুদ্ধে।

৪) বোর্ড কর্তৃক মূল্য সংযোজন কর আইনের কোন কার্যধারা আরম্ভ করার পর সেই সিদ্ধান্ত বা আদেশের ক্ষেত্রে ।

আপিল মামলা দায়ের করতে যা যা কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে তা নিম্নরূপঃ

ক্রমিক নং আপিল করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিবরণ
1. আপিল মেমো/আর্জির কপি;
2. আপিল/আর্জির সফট কপি;
3. ট্রাইব্যুনাল ফি-৩০০/ বা ১২০০/- যার কোড নং-১-১১৩৫-০০১০-২৬৮১;
4. কোর্ট ফি ;
5. উকিল নিযুক্তকরণ;
6. ০১ নং ফরম পূরণ;
7. সকল কাগজপত্রের ফটোকপি -০৫ (পাঁচ) সেট;
8. ১০ % টাকা জমা প্রদান;
9. কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব;
10. মুল বিচার আদেশ এর কপি;
11. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি;
12. যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।

আরও প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।

 পি এ টু প্রেসিডেন্ট, ৯৫৫৬৩১৭

মোবাইল-০১৭৩৫-৭০৪৬০৬